বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥
বরিশালের আগৈলঝাড়া এক অসুর রুপি শ্বশুরের হাতে প্রতিবন্ধি পুত্রবধু গুরুতর জখম হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ বধু এখন জীবন যন্ত্রনায় হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছে। হাসপাতালে আহত পুত্র বধু ও তার স্বজন সুত্রে জানাগেছে। আগৈলঝাড়া উপজেলার জয়রামপট্টি গ্রামের এলাকায় মামলাবাজ বলে খ্যাত, অসুর রুপি শ্বশুর মোঃ নূরুল হক মিয়া তার বিদেশ প্রবাসী মেঝ ছেলে জামাল হোসেন ওরফে তোফাজ্জেল মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৭) কে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি করে গত ৩ দিন যাবৎ দফায় দফায় শ্বশুর নুরুল হক ও শাশুরী মালেকা বেগম শারীরিক নির্যাতন মারধর করে অনাহারে রেখেছে। আজ শুক্রবার সকালে রোজিনাকে সাংসারিক কাজ করতে বললে সে শারীরিক ভাবে দুর্বলতার কারণে কাজ করতে না পারায় তাকে শ্বশুর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বাম হাতের ডানায় গুরুতর জখম করে। জল্লাদ শাশুরী খুনতি দিয়ে গালে জখম করে।
রোজিনা বেহুশ হয়ে পরে গেলে ঘটনাটি আড়াল করার জন্য শ্বশুর তাকে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি না করে গোপনে পাশ্ববর্তী কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। জানাযায় অশ্বর রুপি নুরুল হক তার বড় ছেলে কামালের স্ত্রী জানাহারা বেগম ৩ মাসের অন্তসত্ত্বাকে ইতিপূর্বে মারধর করে গর্ভপাত ঘটিয়ে ফেলে। তাদের ভয়ে ঐ পরিবারের পুত্র বধুরা শ্বশুর শাশুরীর সামনে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না বলে জানান। পারিবারিক এ ঘটনার মদদ দিচ্ছে রোজিনার বিবাহিতা ননদ আছমা বেগম। জানাযায় রোজিনা মানুষিক আংশিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় তার পিতা বারপাইকা গ্রামের সরকারি কর্মজীবি মোঃ সেলিম মোল্লা নুরুল হকের ছেলে জামাল ওরফে তোফাজ্জেল মিয়াকে ৫ লক্ষ টাকা বিদেশ যাওয়ার জন্য যৌতুক দিয়ে এবং বড় পুত্র কামাল মিয়াকে ১ লক্ষ টাকা ধার দিয়ে রোজিনাকে বিবাহ দেয়। বিবাহের পর থেকে এ পর্যন্ত নুরুল হকের পরিবারকে রোজিনার পিতা সেলিম ১৫ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সময়ে সাহায্য করেছে। ঐ টাকা অদ্যাবদি তারা ফেরৎ দেয়নি।
এলাকা সুত্রে জানা যায় নুরুল হক মিয়া একজন মামলা বাজ সে জমিজমা নিয়ে এলাকার বিভিন্ন লোককে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করছে। রোজিনার স্বামী ইটালী থাকায় তাকে প্রায়ই শ্বশুর শাশুরী শারিরীক নির্যাতন করে আসছে।
………………………
Leave a Reply